ইয়র্কশায়ার এন্ড হাম্বার জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা

 

নির্বাহী সারাংশ

 

জলবায়ু এবং পরিবেশে জরুরী অবস্থা কেন?

 

 

বিজ্ঞান সুস্পষ্ট প্রমাণ প্রদান করেছে  - জলবায়ু পরিবর্তন একটি বিরাট সমস্যা, যা আগামী অনেক দশক ধরে আমাদের ভবিষ্যত জীবনকে অনেক ভাবে প্রভাবিত করবে, তা ইয়র্কশায়ারেই হোক, সমগ্র ইউ.কে-তেই হোক বা বিশ্বের অন্য কোথাও, যেখানেই হোক না কেন।

 

 

বিশ্বের পৃষ্ঠতলের গড়  তাপমাত্রা শিল্প যুগ শুরু হওয়ার আগের চেয়ে 1.1 ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। যদি তাপমাত্রার এই পার্থক্য 1.5 ডিগ্রি পর্যন্ত পৌছায়, তাহলে প্রাকৃতিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে বিশ্বের উষ্ণতা অধিক হারে বাড়তেই থাকবে। তারপর জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের জন্য বিপজ্জনক ও বিপর্যকর হয়ে উঠবে। 

 

 

বিশ্বব্যাপী আমরা যদি বর্তমান হারে পরিবেশে কার্বন নির্গমন চালিয়ে যাই, তাহলে আমরা 2030 সালের মধ্যেই বা এর অব্যবহিত পরেই শিল্প যুগ শুরু হওয়ার আগের থেকে উষ্ণতার পার্থক্য 1.5°C ছাড়িয়ে যাবে। ইয়র্কশায়ার এন্ড হাম্বার অঞ্চলে ছয় বছরে উষ্ণায়নের পরিমাণ 1.5 ডিগ্রির ভিতরে রাখার জন্য বৈশ্বিক কার্বন বাজেটে আমাদের যে শেয়ার রয়েছে তা আমরা ব্যবহার করবো।

 

 

পরিবেশ সংকটের কারণে আমরা দেখতে পাচ্ছি, প্রকৃতির এবং জীববৈচিত্রের অবক্ষয় হচ্ছে। একমাত্র পরিবেশ সংকট দূর করতে পারলেই জলবায়ু সংকট দূর করা সম্ভব হবে। আমরা পরিবেশে কার্বন নির্গমনের পরিমাণ কমাব এবং আমাদের সহনশীলতা বাড়াবো। একই সাথে আমাদের প্রাকৃতিক অঞ্চলগুলিকে রক্ষা ও বর্ধিত করতে হবে এবং যথাসম্ভব ক্ষেত্রে প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানের প্রসার ঘটাতে হবে।

 

 

আর তাই এটিকে জলবায়ু এবং পরিবেশগত জরুরী অবস্থা বলছি। আমাদেরকে তা মেনে নিতে হবে এবং উপযুক্ত জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ও উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা পোষণ করতে হবে।

 

 

একটি কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার কাজটি খুবই কঠিন। তবে জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলা করতে গিয়ে আমরা আমাদের ঘরবাড়ি, কমিউনিটি, পরিবহন, ব্যবসা বাণিজ্য, অবকাঠামো, খাদ্য ও কৃষি, সবুজ স্থান, প্রকৃতি এবং বৃহত্তর সমাজের উন্নতি করার সুযোগ পাব। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে আমরা বর্তমান চাকরিগুলোকে রক্ষা করতে এবং ভাল মানের নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারবো।

 

 

 

আমাদের কি লক্ষ্য থাকা উচিত?

 

একটি অঞ্চল হিসাবে 2038 সালের মধ্যে নিট শূন্য কার্বন নির্গমনের লক্ষ্যমাত্রা এবং 2030 সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা আমাদের রয়েছে। আমাদের অঞ্চলের জন্য আমরা যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি, তা ব্যাপকভাবে বিজ্ঞান ভিত্তিক লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু ‘ইয়র্কশায়ার এন্ড হাম্বার ক্লাইমেট কমিশন’ হিসাবে আমরা বিমান এবং জাহাজ থেকে কার্বন নির্গমনও অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করছি এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তা ভালভাবে জানার জন্য আমাদের পঞ্চ-বার্ষিক কার্বন-বাজেট চালু করা উচিত বলে মনে করি। 

 

 

আমরা 2000 সালে 44% প্রত্যক্ষ কার্বন নির্গমন হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছিলাম, যা আমরা অর্জন করেছিলাম বিমান চলাচল ও জাহাজ খাত থেকে নির্গমন অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে। নির্গমনের পরিমাণ 2025 সালের মধ্যে 2000 সালের পরিমাণ থেকে 68%, 2030 সালের মধ্যে 84%, 2035 সালের মধ্যে 92% এবং 2038 সালের মধ্যে 100% কমানোর ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রতিবদ্ধ রয়েছি।

 

 

সুস্পষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার পর আমাদেরকে অবিলম্বে পরিবর্তন আনার জন্য একটি কাঠামো তৈরি নিয়ে ভাবতে হবে। এমন একটি কাঠামো তৈরি করতে হবে, যা চলমান জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতি এবং সহনশীলতা গড়ে তুলতে সক্ষম করবে এবং প্রতিটি পর্যায়ে আমাদের গৃহীত পদক্ষেপ যাতে ন্যায্য এবং ব্যাপকভাবে টেকসই হয় তা নিশ্চিত করবে।

 

 

পরিবর্তনের জন্য একটি কাঠামো আমাদের কিভাবে তৈরি করা উচিত?

 

 

জলবায়ু পরিবর্তন এমন একটি সমস্যা, যা প্রতিটি ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করে। তাই এটি সমাজ এবং অর্থনীতি, প্রতিটি ক্ষেত্র থেকেই যার যার দায়িত্ব পালনের দাবি রাখে। পারষ্পরিক সম্পর্কযুক্ত সমস্যাগুলো সমাধান না করলে আমরা জলবায়ু এবং পরিবেশগত সংকট সমাধান করতে পারবো না। অতএব পরিবর্তন আনার জন্য আমাদের এমন একটি কাঠামো প্রয়োজন যা আমাদের সামর্থ্য বাড়াবে এবং আমাদের সমগ্রহ অঞ্চল জুড়ে অর্থপূর্ণ পদক্ষেপক নিতে উৎসাহ যোগাবে। আমাদের কর্মপরিকল্পনায় এ ব্যাপারে 13 টি সুপারিশ রয়েছে।

 

 

পরিবর্তন আনার জন্য সর্বক্ষেত্র ভিত্তিক কাঠামো হওয়া উচিত:

 

  1. মেনে নেওয়া যে, জলবায়ু এবং পরিবেশগত জরুরী অবস্থা বাস্তব একটি সমস্যা এবং স্বীকার করা যে আমাদেরকে তাৎক্ষণিক এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষাপূর্ণ ব্যবস্থা নিতে হবে।
  2. একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ করা যে, জলবায়ু এবং প্রকৃতির উপর উচ্চাভিলাষী পদক্ষেপ ইয়র্কশায়ার এন্ড হাম্বারকে একটি সুখী, স্বাস্থ্যকর, ন্যায়সঙ্গত এবং অধিকতর সমৃদ্ধ জায়গা হিসাবে গড়ে তুলতে পারে।
  3. উচ্চাভিলাষী, ত্বরান্বিত পরিবর্তন বাস্তবায়নের দিকে মনোনিবেশ করে লক্ষ্য থেকে পরিকল্পনা থেকে বাস্তবিক পদক্ষেপ গ্রহণের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
  4. এমন একটি ন্যায্য পরিবর্তনে আনয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা, যা জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে গৃহীত প্রতিটি পদক্ষেপ সক্রিয়ভাবে বিদ্যমান অসাম্যতা কমাতে থাকবে, ক্ষমতাশীল করবে এবং সমগ্র অঞ্চলের সকল জনগণকে সমর্থ করে তুলবে।
  5. সকলে মিলে কাজ করলে আমরা অনেক কিছুই অর্জন করতে পারি তা স্বীকার করে নেওয়ার মাধ্যমে সহ, আমাদের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজন আমাদেরকে পথ দেখানো তা স্বীকার করে নেওয়ার মাধ্যমে সকলের মধ্যে সম্মিলিত দায়িত্ববোধ গড়ে তোলা
  6. জলবায়ু ও পরিবেশ উন্নয়নের বিষয়কে সব বড় বড় কৌশলগত নীতিমালা প্রণয়ন, পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বিনিয়োগের সিদ্ধান্তের কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপন করার মাধ্যমে সকলে মিলে যৌথভাবে কাজ করা।
  7. স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটির পাঠ্যক্রমে জলবায়ু ও পরিবেশ উন্নয়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে এবং কার্বন জলবায়ু উন্নয়ন ও কার্বন নির্গমন হ্রাসকরণের প্রচার ও প্রসার ঘটিয়ে শিক্ষা ও সহযোগিতার উত্তরণ ঘটানো।
  8. সবুজ বা পরিবেশ বান্ধব অর্থনীতিতে উন্নত মান সম্পন্ন নতুন কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে, বর্তমানের নিয়োগকর্তা ও চাবুরীজীবিদেরকে পরির্বতনের সাথে খাপ খেতে সহায়তা করার মাধ্যমে, এবং জলবায়ু সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নত করা ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা।
  9. জলবায়ু এবং প্রকৃতি অর্থায়নের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করা, যা নতুন প্রকল্প এবং কর্মসূচি বিকাশে এবং সেগুলোকে নতুন ধরনের অর্থায়ন ও বিনিয়োগের সাথে সংযুক্ত করতে সহায়তা করবে।
  10. বিভিন্ন ধরনের সম্পদ ভাগাভাগি করে/যৌথভাবে ব্যবহার করার মাধ্যমে সহযোগিতা ও উদ্ভাবনের সংস্কৃতি লালন করা এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা, যাতে সর্বোত্তম কার্যপদ্ধতি সমগ্র অঞ্চল জুড়ে বিকাশ ও বিস্তার লাভ করে।
  11. প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদগুলোর টেকসই ব্যবস্থাপনাকে এবং প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান পদ্ধতিকে সমর্থন করে আমরা যে প্রাকৃতিক এবং পরিবেশগত ব্যবস্থার উপর নির্ভর করি, তা রক্ষা এবং পুনরুদ্ধার করা।
  12. এই অঞ্চলের জন্য একটি টেকসই অগ্রগতির সূচক তৈরি করে এবং আমাদের অগ্রগতিকে সমর্থন এবং পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটি আঞ্চলিক জলবায়ু মানমন্দির বিকাশের মাধ্যমে অগ্রগতির পরিমাপ পদ্ধতিগুলো পুনর্বিবেচনা করা।
  13.  আমাদের এই অঞ্চলের জন্য গৃহীত উচ্চাভিলাষী পদক্ষেপ সফল করার জন্য আমাদের যাতে সমর্থন এবং সুস্পষ্ট, স্থিতিশীল জাতীয় নীতিমালা থাকে তা নিশ্চিত করতে জাতীয় সরকারের সাথে সংযোগ স্থাপন করুন।

 

 

আমরা কিভাবে জলবায়ু প্রস্তুতি এবং সহনশীলতা তৈরি করতেপারি?

 

 

আমরা ইতিমধ্যেই নিয়মিত ভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্র ও মারাত্মক প্রভাব অনুভব করছি - এমনকি যদি আমরা দ্রুত কার্বন নির্গমন হ্রাস করি, তারপরেও জলবায়ুর আরো প্রভাব থেকে যাবে (বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড সুদীর্ঘ সময় অব্যাহত থাকে বলে)। সুতরাং আমাদের ঘরবাড়ি ও কমিউনিটি, আমাদের পানি, জ্বালানি, পরিবহন ও যোগাযোগ পরিকাঠামো, আমাদের কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থা, আমাদের প্রকৃতি এবং জীববৈচিত্র্য ইত্যাদিকে রক্ষা করার জন্য আমাদের প্রস্তুতিগ্রহণে এবং সহনশীলতায় বিনিয়োগ করতে হবে। সহনশীলতার উপরোক্ত প্রতিটি বিষয় আমাদের ভবিষ্যত স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। আমাদের জলবায়ু কর্মপরিকল্পনায় নিম্নলিখিত 15 টি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

 

 

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা করা এবং আমাদের প্রস্তুতি এবং সহনশীলতা বাড়ানোর জন্য আমাদেরকে:

 

 

  1. জলবায়ু ঝুঁকি সংক্রান্ত উন্নত মানের যোগাযোগ পদ্ধতির বিকাশ করতে হবে
  2. জলবায়ু অন্তর্ভুক্তিমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সমাধান ও সহ-সৃষ্টিকে উৎসাহিত করতে হবে
  3. এলাকা-ভিত্তিক এবং স্থান ভিত্তিক জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা ব্যাপকভাবে গ্রহণকে উৎসাহিত করতে হবে
  4. স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং কমিউনিটির জন্য উপকারী সহনশীলতা অর্জনের পদক্ষেপসমূহের প্রসার ঘটাতে হবে
  5. এই অঞ্চলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ পুনরুদ্ধার এবং বৃদ্ধি করে ভূমি ব্যবহারে সহনশীলতার প্রসার ঘটাতে হবে
  6. বর্তমান এবং ভবিষ্যত পরিবর্তনের জন্য খাদ্য ও কৃষি খাতকে প্রস্তুত করে তুলতে হবে
  7. প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান এবং নীল-সবুজ সহনশীলতা অবকাঠামোর উন্নয়নের প্রসার ঘটাতে হবে
  8. ব্যবসা বাণিজ্য এবং শিল্প কারখানায় জলবায়ু পরিবর্তনের সহনশীলতার প্রসার ঘটাতে হবে
  9. জলবায়ু প্রস্তুতি এবং সহনশীলতার জন্য একটি আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক গঠন করতে হবে
  10. একটি আঞ্চলিক কার্যপদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য সকল অবকাঠামোকে একটির সাথে আরেকটির খাপ খাওয়াতে হবে
  11. ডিজিটাল অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করতে হবে
  12. উন্নত মানের জরুরী এবং পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার মাধ্যমে জলবায়ু সংক্রান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে
  13. জরুরী অবস্থা দেখা দিলে যাথে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেজন্য একটি পুরো সমাজ ভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে
  14. সাশ্রয়ী মূল্যের, ব্যাপক বন্যা বীমার বিধান এবং গ্রহণের প্রসার ঘটাতে হবে
  15. সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে পরিবর্তন ও ক্ষতির দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা জোরদার করতে হবে।

 

 

 

 

 

আমরা কিভাবে নিট শূন্য কার্বন নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারি?

 

 

2038 সালের মধ্যে নিট শূন্য নির্গমন লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে আমাদেরকে কার্বন নির্গমন দ্রুত হ্রাস করতে হবে, যাতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সুযোগ থাকে। কার্বন নির্গমন হ্রাস করতে গিয়ে যা করতে হবে তা হলো পুনরায় ব্যবহারযোগ্য জ্বালানীশক্তির উৎসগুলির দ্রুত সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখা, স্মার্ট এনার্জি গ্রিডগুলিতে বিনিয়োগ করা এবং আমাদের বসতবাড়ি, ভবন, ব্যবসা এবং পরিবহন ব্যবস্থাকে উন্নত করা যাতে এগুলোর জ্বালানী চাহিদা কমে আসে। বায়ুমন্ডলে কার্বন নির্গমন কমানোর ব্যাপারেও আমাদেরকে ব্যবস্থা নিতে হবে এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যে ব্যবস্থায় আমাদের সম্পদ দক্ষতার সাথে পুনর্ব্যবহার ব্যবহার হবে এবং খাদ্য, ফ্যাশন এবং বিমান পরিবহনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে সম্পদ ব্যবহারের পরিমাণ পুনর্বিবেচনা করা হবে। আমাদের কর্মপরিকল্পনায় নিট শূন্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য 22 টি সুপারিশ রয়েছে।

 

 

আমাদের নিট শূন্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আমাদের প্রয়োজন:

 

  1. বিমান চলাচল ও শিপিং খাতকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং 5-বার্ষিক কার্বন বাজেট গ্রহণ করে আমাদের বর্তমান লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকে এগিয়ে যাওয়া
  2. জ্বালানীশক্তির চাহিদা কমানোর উপর প্রাথমিক জোর দেওয়া
  3. স্মার্ট এবং নমনীয় জ্বালানীশক্তির নেটওয়ার্ক চালু করা
  4. জ্বালানীশক্তি সরবরাহকে ডিকার্বনাইজেশন করার যে ব্যাপক কর্মসূচী নেয়া হয়েছে তা সমর্থন করা
  5. কমিউনিটি জ্বালানীশক্তির এবং বিতরণকৃত পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানীর উল্লেখযোগ্য প্রসার ঘটানো
  6. ঘরবাড়ীতে উচ্চাভিলাষী জ্বালানী সাশ্রয়ী ব্যবস্থা যোগ করা
  7. পাবলিক এবং বাণিজ্যিক ভবনগুলিতে উচ্চাভিলাষী এবং সক্রিয় জ্বালানীশক্তি ব্যবস্থাপনা কার্যকরী করা
  8. ঐতিহাসিক ভবন এবং সংরক্ষিত এলাকায় জলবায়ুর উদ্দেশ্যগুলি আরও ভালভাবে সমাধানের উপায় অন্বেষণ করা
  9. প্রভাব হ্রাস করা এবং নতুন উন্নয়নের সুফল সর্বাধিক করা
  10. গণপরিবহন প্রসার করা
  11. সক্রিয় ভ্রমণ সক্ষম করা
  12. ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকানার প্রয়োজনীয়তা সর্বনিম্ন করা
  13. কম নির্গমনের যানবাহনে সহায়তা ও সমর্থন করা
  14. বিমান চলাচলের প্রভাব কমানো
  15. এই  অঞ্চলের অর্থনীতিকে সবুজ করার দিকে মনোনিবেশ করা
  16. বর্তমানের ব্যবসা বাণিজ্যগুলোতে নিট শূন্য কার্বন নির্গমন সমর্থন করা
  17. কৃষি এবং খাদ্য উৎপাদনে নিট শূন্য কার্বন নির্গমন অর্জনে সহায়তা করা
  18. নিট শূন্য নির্গমন অবকাঠামোকে সহায়তা করা
  19. পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনার প্রসার ঘটানো
  20. ভূমি ব্যবহারে নেট শূন্য নির্গমনের প্রসার ঘটানো
  21. সম্পদের কার্যদক্ষতা / বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বৃত্তাকার অর্থনীতি প্রসারিত করা
  22. টেকসই উৎপাদন, টেকসই ভোগ ব্যবহার এবং জীবনধারা প্রসারিত করা।

 

ইয়র্কশায়ার এন্ড হাম্বার ক্লাইমেট কমিশন সাহায্য করার জন্য কি করবে?

 

 

জলবায়ু এবং প্রকৃতি বিষয়ে উচ্চাভিলাষী, অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে যাতে আমরা শক্তিশালী হতে পারি সে জন্য ‘ইয়র্কশায়ার এন্ড হাম্বার ক্লাইমেট কমিশন’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কমিশন এর মধ্যেই এই অঞ্চলের মানুষ এবং সংগঠনগুলিকে একত্রিত করেছে। গত কয়েক মাসের বিপুল সহযোগিতা, পরামর্শ এবং সবে মিলে কাজ করার ফলাফল হচ্ছে এই কর্মপরিকল্পনাটি।

 

এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কমিশন দায়িত্ব পালন করে যেতে থাকবেন। সে জন্য আগামী আড়াই বছর কমিশন পারষ্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন ধরনের সম্পদের ব্যবহার অব্যাহত রাখবে, যাতে কমিশন জলবায়ু এবং প্রকৃতির ব্যাপারে গৃহীত উচ্চাভিলাষী পদক্ষেপগুলিকে ন্যায্য এবং টেকসই উপায়ে সমর্থন করতে, দিক-নির্দেশনা দিতে এবং পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হয়।

 

কমিশন নির্দিষ্ট যে পদক্ষেপগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইবে, তা এই প্রতিবেদনের শেষ অধ্যায়ে রয়েছে। পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে একটি ‘ক্লাইমেট লিডার্স প্লেজ’ প্রতিষ্ঠা, একটি ‘ক্লাইমেট লিডারশিপ প্রোগ্রাম’ গ্রহণ, একটি সিটিজেন্স ফোরাম এবং একটি ক্লাইমেট ফাইন্যান্স প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করা এবং ন্যায়সঙ্গত রূপান্তর পরিকল্পনা ও প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান কৌশল তৈরি করা।

 

Bengali translation - Executive Summary, Yorkshire and Humber Climate Action Plan